দুই টাকা দাম, অফিস যাবার পথে – বাস এ, দুই ঘন্টার সম্পর্ক প্রতিদিন, (ভিন্ন কারণে) ভাল লাগা একটি দৈনিক পত্রিকা “বাংলাদেশ প্রতিদিন”।
গতকাল (৩রা নভেম্বর) দুই টাকায় প্রতিদিনের চেয়ে অনেক বেশি কিছু পেলামঃ
- প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিচারণমূলক লেখা – ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কিছু সময়। তার বর্ণিত প্রতিটি স্থান আমি স্বচক্ষে দেখেছি, ২০০০ সালে (মহিলা ওয়ার্ড বাদে)। আমিও স্মৃতি রোমন্থন করলাম।
- সোহেল তাজের লেখা – তাঁর পিতা ও তাঁকে শ্রদ্ধা করি। প্রার্থনা করি তিনি যেন, আজীবন আনটাচেবল থাকতে পারেন।
- ১৬৯৯ টাকায় প্রয়োজনীয় সুবিধা সহ ফোনসেটের খবর। বউয়ের মোবাইল ঘর হতে অলমোস্ট ডাকাতি হয়েছিলো মাস কয়েক পূর্বে। তাকে আরেকটি কিনে দিতে হতো। এটি কিনে দেয়া যাবে। এক পাতা জুড়ে ফোনটির ছবি। বউকে’ রঙিন বিজ্ঞাপন টি দেখিয়ে রাজি করিয়ে ফেললাম। সামনে ঈদুল আজহার বোনাস পেয়েই কিনে ফেলবো।
- সবচে’ বেশী ভাল লাগলো, যখন খেয়াল করলাম – আমার তোলা একটি ছবি ছেপেছে। তাদের রকমারি পাতায়, “বাহাদুর শাহ পার্কের অজানা কাহিনী” লেখায় যে ছবিটি ব্যবহার করেছে, সেটি আমি ২০০৭ সালের ২৮শে জানুয়ারী তুলেছিলাম। সৃজনী সাধারণ (CC) লাইসেন্সের যে সংস্করণের আওতায়, আমি ছবিটি উইকিমিডিয়া কমন্সে ছবিটি আপলোড করেছিলাম, তাতে বাংলদেশ প্রতিদিন কে আমার নাম উল্লেখ করতে হতো। বাংলাদেশে প্রায়শই এমনটি ঘটে। পূর্বেও আমার ছবি বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, এরকম কায়দায়। রাগ করেছি। কিন্তু আজকে করলাম না, তিন (!) লক্ষাধিক সার্কুলেশনে পত্রিকাটি, আমার ছবি ছেপেছে। আমার পুরানো ঢাকার একটি ঐতিহাসিক স্থানের ছবি অনেকে দেখতে পেলো, আর কি প্রয়োজন।এসএসসি তে আমার ছবি পত্রিকায় আসেনি – আব্বার মনে বড়ই আকাঙ্খা ছিলো। তাঁকে বলে দেখবো, আমার তোলা ছবি ছাপা হয়েছে – ঘোলের স্বাদ দেওয়ার চেষ্টা করবো।