রাজার আদেশ-
প্রাণভরে ১০০ শতাংশ গ্রহন করিবে শ্বাস,
ধরে রেখে তার ৭৫ – ত্যাগ করিও বাকি নিশ্বাস।
প্রজার আকুতি-
বিজ্ঞ আপনি জানি। সদা আপনাকেই প্রভু মানি।।
এসেছিলো জোয়ার, শুরু করেছিলেন উন্নয়ন
টাকশাল হতে বিয়োগান্তক ধারায় আছে ধন।
সকলেই আপনার শূন্য একের ভক্তো
২৫ শতাংশ ছাড়লে, আমরা বাঁচবো তো?
রাজা বলেন-
খামোশ, চুপ রহো বেত্তমিজ মূর্খ
তোর কপালে আছে অতীব দুঃখ।
ছিলি ভুখা নাঙ্গা, থাল তাও ভাঙ্গা
দিয়েছি রুটি, মাকান, কাপর মেহেঙ্গা।
কৃপা করে দিয়েছে শূন্য একের প্রযুক্তি
অতিক্ষুদ্র খুঁত খুঁজে করছিস কটূক্তি;
কমিয়ে দিয়েছি শূন্য-একের করের বোঝা
সেইজন্য দাঁড়াতে পারছিস খাড়া সোজা।
প্রজা বলে –
মহামান্য! কমিয়েছেন একটু একটু করে,
পাশের রাজ্যেই কমে আছে ঊনসত্তর মাস ধরে।
রাজা বলেন –
তোরা হলি ছোটলোক অকৃতজ্ঞের জাত
বসতে দিলে শুয়ে গড়াগড়ি যেতে চাস্ ?
শ্বাস-প্রশ্বাস সমানে ছাড়তে দিলি,
করবি শূন্য-এক দিয়ে কথা বলাবলি।
প্রজা বলে-
পিতা-পুত্র-স্বামি সাত সমুদ্দুর ওপারে
দুঃখ সয়ে, সুখ তারা পাঠায় মোদের ঘরে।
আধপেটা খাটছে, ঘামছে তারা খর্জূর বাগানে,
কষ্ট ভুলতে, প্রিয়জনকে চোখে দেখে, কথা শুনে কানে।
রাজা বলে –
আহা! সেতো জানি, পাঠায় ডলার-রিয়াল-মানি;
মন্দা কাটিয়ে, টাকশাল ফুলেছে, দেশ হচ্ছে ধনী
কে, না করেছে? বলনা কথা, দেখনা ছবি
যখন মন চায় যতটা চায়, খুশি হবি।
শুধু বসবি না কখনো আপন যন্ত্রে
বলবি না কথা, দেখবি না ছবি নিজ নিজ মন্ত্রে।
সভ্য হ, সুন্দর হ। শিখে নে নাগরিক আচার
অবৈধ শূণ্য-একের ব্যবহার, অনাচার অনাচার।
বাণিজ্যের রয়েছে, ছত্রিশ কোটাল পুত্রের অনুমতি
ব্যবহার করবে তাদের যন্তরমন্তর, তোদের কন্যা-জায়া-জননী।
প্রজা বলে-
মূল্যহীন মহাবিটের করলেন মূল্যহ্রাস,
ভেবেছিলাম পয়সা বাঁচিয়ে সামনে শীতে খাব হাঁস।
কোটাল পুত্রও একই মূল্যে মহাবিট করছে কাঁড়াকাঁড়ি
কিনছে হিরে-জহরত; প্রাসাদ আর মোটর গাড়ি।
রাজা বলেন-
মূর্খ, ভুখা, নাঙ্গা! কি করে আসে সাহস তোদের বক্ষে
কে আছিস, ঢোকা শালাকে মস্তিস্ক প্রক্ষালন কক্ষে।