Category Archives: Uncategorized

বড় কোম্পানীগুলো যেভাবে ইনটারনেটের মালিক হয়ে যাবে

ডাটা চার্জ ছাড়াই ফেসবুক ব্যবহারের সেবা আরম্ভ হয়েছে, কয়েক মাস হল। একটি নির্দিষ্ট অপারেটর এর সংযোগ ব্যবহার করলে এই সেবা উপলভ্য হয়। আমি সেই অপারেটর এর গ্রাহক নই। আমার মতো যারা মোবাইলে ফ্রি ফেসবুক ব্যবহার করেন না, তাদের মোবাইল ফেসবুক বিজ্ঞপ্তিতে ঘুরেফিরে একটা নোটিস আসে এই বলে যে, আমার ফেসবুক বন্ধুদের কারা কারা ডাটা চার্জ ছাড়াই ফেসবুক ব্যবহার করতেছে। সেটা ক্লিক করলে ফেসবুকের পার্টনার অপারেটর সংযোগের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে জানা যায়। ভেবেছিলাম, এই নোটিফিকেশন একসময় আসা বন্ধ হয়ে যাবে; হয়নি। গতকালও এরকম নোটিশ পেলাম।

ডাটা চার্জ ব্যতিরেকে ফেসবুক

ডাটা চার্জ ব্যতিরেকে ফেসবুক

বেশ কয়কবার গুগল করে নিশ্চিত হলাম, ফেসবুক একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। শেয়ার কিনতে পাওয়া যায়, মানে শেয়ারহোল্ডার রয়েছে, ফি-বছর এদের মুনাফা বুঝিয়ে দিতে হবে।

Screen Shot 2015-09-20 at 10.55.40 AM

তাহলে, এরা কি উপায়ে তাদের সার্ভার-হেন-তেন খরচ মেটাবে? সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে করবে সেই বিশ্বাস উঠে গেছে যখন শুনি দেশে এক অপারেটর হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাপলা করেছে। তারপর লক্ষ্য করলাম, ফেসবুক বলেই দিচ্ছে, ডাটা চার্জ লাগবে না। হ্যাঁ ডাটা চার্জ লাগবে না। এটা কিন্তু বলে নাই, আপনি ফেসবুক ব্যবহার করলে আমরা ভিন্ন উপায়ে খরচ পুষিয়ে নিবো। কিংবা খরচ পুষিয়ে বেশ ভালো লাভও করে নিবো – যা কখনোই স্পষ্ট করে বলবে না। বলার বাধ্যবাধকতা নেই।

আমি একজনকে দেখেছি, মোবাইলে শুধু ফেসবুক ব্যবহার করে। তিনি ওই মাগনা ফেসবুক চালাতে পারেন বলেই, ফেসবুক ব্যবহার করেন। মানে তার ফোনটি দখল করে আছে ফেসবুক, ইনটারনেট নয়। তাকে “use case” ধরলে আমি বলতে পারি, এই প্রেক্ষিতে ইন্টারনেটের মালিক একটি বড় কোম্পানী। আমি আশা করবো, আমার দেখা এই একটি উদাহরণ যেনো খুব বেশী বৃদ্ধি না পায়।

আমি ইনটারনেট ডট অর্গ সম্পর্কে কোন আলোচনা করতে পারবো না, সেটির নেপথ্যে আরো বেশি জটিল তথ্য জেনেছি। শুধু এতটুকু বলতে পারি, ইনারনেট ডট অর্গে, আমার প্রয়োজনীয় কিছু সেবা যেমন, ইমেইল বা সেরকম আরও কিছু পাওয়া যায় না।

:: Probhat for macOS :: ম্যাক ওএস এর জন্যে প্রভাত ::

যারা mac OS ব্যবহার করেন, আশা করি তারা এর সফটওয়্যার ইনস্টল পদ্ধতি জানেন। নিচের ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন কি উপায়ে প্রভাত ইনস্টল করতে হবে।
1

তারপর

3

তারপর

2‌‌

তবে সবার আগে ডট ডিএমজি ডাউনলোড করুন এখান থেকে

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ  আশিকুর নুর সাহেব ম্যাক বাতাস খরিদ করেছেন, আমার পাশে বসে আছেন। প্রভাত লেআউট ছাড়া বাংলা টাইপ করেন না। আমার নিকট ম্যাক এর জন্যে প্রভাত ইনসট্লার চাইতেছেন। এমনি এমনি দিয়ে দিবো, একখানা শর্ট ব্লগ লিখে ফেললাম। উনিও এটি পড়েই ইনস্টল করুন। আশা করি, এই ব্লগ শেয়ারও করবেন তিনি।

মরিস না ক্যান?

ভাগ্যের উপর জোর যে কখনো চলেই না
নচ্ছার এমন এক ঋতু যা বদলায়ই না
দুর্ভাগ্য আমার ফিরে ফিরে এসে দেয় ধরা
দরিদ্রতা মোর কখনো লুকায় না হতচ্ছাড়া
সাধ্য কি আমার, নাম কারো মুখে নেবার
আসামী আমি এর ওর এবং সবার
মৃত্যুতে হবেনা জানি আমার মরণ
মারুক যতবার পারে আমায় এই জীবন

আমার ওয়াইফাই যন্ত্রসমূহ

আসুস এসপায়ার ফোরসেভেন ফোরজিরো ল্যাপটপ

DSC_0042

আসুস ট্রান্সফরমার TF101 ট্যাবলেট

DSC_0049

এনড্রয়েড টিভি স্টিক।

DSC_0046

দুইটি রাস্পবেরী পাই

পাঁচটি ডেস্কটপ পিসি

সোনি এক্সপেরিয়া এস মোবাইল ফোন

বউয়ের নোকিয়া ফোন

স্যামসাং গ্যালাক্সী ওয়াই মোবাইল ফোন

স্বপ্নে পাওয়া ১

করিমন ও ক্যাথরিন একই গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরি করে, একই ফ্লোরে, একই কাজ করে। করিমনের বেতন ৬৫ ডলার, ক্যাথরিনের বেতন ৬৫০০ ডলার। করিমনের এ নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। একজন ফিরিঙ্গি এর উসিলায় তার ও অন্য সব কর্মীর আগুনে পুরে যাওয়া, পদদলিত হওয়া, কারখানা ভবন ধ্বসে আটকে পরা বা অন্য কোনরকম অনিয়মের ভয় নেই।

বাংলাদেশের প্রতিটি গার্মেন্টসে একজন করে ক্যাথরিন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

কার্নেল হ্যাক সম্পর্কে জানতে চাই সেই সাথে কিভাবে কন্ট্রিবিউট করা যায় সেটাও

nixers গ্রুপে, তপন কুমার দাস এর একটি স্টাটাসে প্রভাবিত হয়ে এই আধখেঁচড়া ব্লগটি লিখছি। কারো কারো কাজে লাগতে পারে। আবার অনেকের কাজে নাও লাগতে পারে। এক ঘন্টায় এটি লিখলাম। কাল ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাব সকাল নটায়, এখন রাত আড়াইটা। পরে, প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করবো।

শিরোনামটি তার স্টাটাস হতে নেওয়া। এটি ছিলো তার জিজ্ঞাসা। আমি শুধু কার্নেল নয়, যেকোন ওপেন সোর্স প্রকল্পে কি উপায়ে কন্ট্রিবিউট করা যায়, সেটি জেনেরিক উপায়ে লিখার চেষ্টা করেছি।

– এক বা একাধিক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ইনস্টল করুন। *nix এর মজাই এখানে, আপনার পছন্দের অপশন অনেক, অগুনিত। (অফটপিক: একাধিক ডিস্ট্রো থাকাটাকে আমরা ভালভাবে না নিয়ে, একে অপরের সাথে ডিস্ট্রো ফাইট করি।)

– পড়তে হবে, বই পড়তে হবে। বিকল্প নাই। একটি জেনেরিক বই আছে, এটি কোন ডিস্ট্রো ভিত্তি করে লেখা হয় নাই। আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ বই এটি, আমার কোন ব্যক্তি গুরু নাই, এটিই আমার গুরু। যেমন শিখদের গুরু গ্রন্থ সাহিব। বইটির নাম – Running Linux. লিখেছেন : Terry Dawson, Matthias Dalheimer, Matt Welsh। প্রকাশ করেছে O’Reilly। লিনাক্স বুঝতে প্রায় সকল উপকরণ রয়েছে এই বইতে। লেখকবৃন্দ, লিনাক্স ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ সকল সমস্যা এই বইতে আলোচনা করেছেন। তারা পরীক্ষিত ও নির্বাচিত সমস্যাসমূহের সমাধান এই বইতে সন্নিবেশ করেছেন।

– Replicate করুন। যদি আপনি replicate করতে না পারেন, তাহলে this is not science। আপনার পছন্দের ডিস্ট্রো replicate করুন। কিভাবে করবেন?

– আপনার লিনাক্স ডিস্ট্রোর সোর্স হতে বাইনারি বিল্ড করুন। আপনি একবার বাইনারি বিল্ড করতে পারলে, জেনে যাবেন সকল প্রকার প্রাক-প্রস্তুতি। আর বিল্ড করার সময় যত বেশি সমস্য হবে, ততই আপনি উপকৃত হবেন। প্রতিটি সমস্যার বিপরীতে শত সমাধান পাবেন, গুগল করে। গুগল সার্চ রেজাল্টে প্রাপ্ত মেইলিং লিস্টের আর্কাইভ সমূহ, বিভিন্ন ফোরাম পোস্ট, ব্লগ নিবন্ধ – পড়ুন! মনোযোগ দিয়ে পড়ুন! ধীরে অতি ধীরে হৃদয়ঙ্গম করে পড়ুন!

– সোর্স checkout করুন। সোর্স থেকে বাইনারি বিল্ড করুন, এতে আপনি নিজেই অনুধাবন করতে পারবে, আপনার কি কি কনফিগারেশন অপশন প্রয়োজন। (আপনি যদি একবার নিজে নিজে বাইনারি বিল্ড করতে পারেন, আপনি প্রস্তুত)।

– ওপেন সোর্স একটি সামাজিক মিথস্ক্রিয়া। ওয়ান ম্যান আর্মি দিয়ে ওপেন সোর্স এর কাজ হয় না। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের হ্যাকার, কন্ট্রিবিউটরদের সাথে যোগাযোগ উন্নয়ন করুন। তাদের জিজ্ঞেস করুন। মিশতে শিখুন। show off করবেন না। wanna be দের তারা WTF দিয়ে উড়িয়ে দিবে। আমাদের দেশে আবার wanne be – আমেরিকানো মাস্তানো বেশী।

– মাথায় কোন প্রশ্ন আসার সাথে সাথে হুট করে জিজ্ঞেস করবেন না। প্রথমে নিজে চেষ্টা করুন, গুগল করুন। নিজে একটু চেষ্টা করুন, নিজের হোমওয়ার্ক করে নিন। তারপর জিজ্ঞেস করুন, ভয় পাবেন না। তবে, কিছুটা সচেতনতা প্রদর্শন করুন। যেনো সকলে বুঝতে পারে, আপনি জানেন আপনি কি জিজ্ঞেস করছেন, আপনি নিজে খেটে এসে তারপর জিজ্ঞেস করছেন। শেখার চেষ্টা করুন, কমিউনিটিতে কি উপায়ে কথোপকথন হয়, কি উপায়ে আলোচনা হয় তা জানুন ও শিখুন। মেইলিং লিস্টের আর্কাইভ গুলো চষে বেড়ান।

– মেইলিং লিস্ট, আইআরসি – হচ্ছে ফ্রী ও ওপেন সোর্স কমিউনিটির যোগাযোগের চ্যানেল। হ্যাঁ যদিও এগুলো প্রাগৈতিহাসিক মনে হতে পারে। এগুলো আমার-আপনার জন্মের পূর্বে এসেছে, মেনে নিন। Deal with it। কোন মেইলিং লিস্টে বা আইআরসি চ্যানেলে আপনার প্রথম প্রশ্নটি যেনো – সেই প্রকল্পের সমালোচনা না হয়। প্রতিটি ওপেন সোর্স প্রকল্প অনেক কষ্টের ফসল। কেউ চাইবে না একজন নতুন লোক এসে – ঠা ঠা ঠা গোলাগুলি আরম্ভ করে দিক। এটি বাংলাদেশি স্টাইল, দৃষ্টি আকর্ষনের সহজ উপায় গালি দেওয়া। এটি করবেন না। পছন্দ না হলে, সেই প্রকল্পে যোগদানের প্রয়োজন নেই। নয়তো – আপনাকে এক কাপ গরম গরম shut the fuck up ধরিয়ে দেওয়া হবে।

– Crash! হ্যাকার জন্ম নেবার মুহূর্ত! যখনই কিছু ক্র্যাশ করবে, আপনাকে আনন্দিত হতে হবে। আপনার কাজ হবে ক্রাশ এর stack trace নেওয়া। স্ট্যাক ট্রেস হলো, একটি প্রোগ্রাম চলাকালীন কোন এক মূহুর্তের, সক্রিয় স্ট্যাক ফ্রেম সমূহের রিপোর্ট। ইংরেজীতে বলি, Stack Trace is a report of the active stack frames at a certain point in time during the execution of a program। এই স্ট্যাক ট্রেস দিয়ে বাগ সাবমিট করুন নির্দিস্ট প্রকল্পের বাগ ট্র্যাকার এ। বিভিন্ন প্রকল্পের বাগ ট্র্যাকার:
https://bugzilla.redhat.com, https://bugzilla.mozilla.org, http://bugzilla.gnome.org, https://bugs.launchpad.net

– আপনি যা রিপোর্ট করবেন, তার পূর্বে অবশ্যই খুঁজে নিবেন একই সমস্যা অন্য কেউ রিপোর্ট করেছে কিনা। যদি করে থাকে তাহলে, সেটি সমাধান করা হয়েছে কিনা। তবে সমাধান করা হয়ে থাকলে, আপনার crash করার কতা না, কারণ সেটি তো অলরেডি ফিক্স হয়েই গেছে। আর যদি সমাধান না হয়ে থাকে, তাহলে মজা। সবাই মিলে সেটি ফিক্স করেছে, আপনিও তাদের সাথে ভিড়ে যান। আর যদি বাগটি রিপোর্ট করা না হয়ে থাকে, তাহলে বাগ সাবমিট করুন। যেকোন ওপেন সোর্স প্রকল্পে একটি বাগ সাবমিট, আপনার যোগ্যতার প্রমাণ। (আমি বিভিন্ন সময়ে ডেভেলপারদের ইন্টারভিউ নিয়ে থাকি। প্রার্থীর CV হাতে পেলে, তার নাম সার্চ দিয়ে দেখি, যদি ওনার নামে বিভিন্ন ওপেন সোর্স প্রকল্পে চার/পাঁচটি বাগ সাবমিট করা পাই। তাহলে তাকে ইন্টারভিউতে এক্সট্রা পয়েন্ট দেই।)

– হতে পারে, আপনার বাগ প্রকল্প বা কম্যুনিটি ফিক্স করবে না। বলে দিবে wontfix। মনে কষ্ট পাবেন না। যারা প্রকল্প পরিচালনা করছে, তারা তো আর আমাদের চাকুরি করে না।

– কি করবেন তাহলে! নিজেই ফিক্স করুন মানে হ্যাক করুন। সমাধান করতে পারলে, একটি patch ফাইল তৈরী করে প্রকল্পের আপস্ট্রিম সাবমিট করে দিন। কিন্তু না! এবারও হলোনা? প্রকল্প patch টি গ্রহন করলো না। কষ্ট নিয়েন না। কারণ, লোকজন নিজেদের কোডকে অনেক ভালবাসে, তারা হুট করে একজন নতুন লোকের প্যাচ নিয়ে নেয় না। তাদের কৈফিয়ত শুনুন, তাদের উপদেশ মেনে আবার কাজ করুন। লোকালি বিল্ড করুন, রান করুন, স্ক্রিনশট নিয়ে ব্লগ করুন, সোসাল ব্রডকাস্ট করুন। ব্যবহারকারীরা patch আপনার সাইট হতে নামিয়ে যখন দেখবে, এটি চলছে তারা ফিডব্যাক দিবে। বাতাস আপনার কল নাড়াবে। আর অবশেষে একদিন মুল প্রকল্পে আপনার কোডও কমিট করা হবে। আমি Worst Case Scenario বললাম। বেশিরভাগ সময় আপনার প্রথম patch টিই গ্রহন করা হবে। ঘাবড়ানোর কিছুই নেই। ;)

– ভাল কথা, আপনি যে আপনি। তার প্রমাণ কি? GPG key ব্যবহার আরম্ব করে দিন এখনই। অনেক স্থানে GPG সাইনিং ছাড়া patch গ্রহন করা হয় না।

ফায়ারফক্স ওএস, যাদুকরী কিছু একটা আছে।

নোট: এটি আমার লেখা নয়। মোজিলাRob Hawkes এর লেখা There is something magical about Firefox OS ব্লগের অনুবাদ মাত্র। অঙ্কুরের লোকালাইজেশন দলের সদস্যগণ অনুবাদ করেছেন। আমি সম্পাদনা করে ধাপে ধাপে এখানে তা প্রকাশ করছি।

পরিষ্কার ভাষায় বলতে গেলে;ফায়ারফক্স ওএস একটি বিশাল সম্ভাবনার সূচনা। একটি অপেক্ষমান বিপ্লব। সবুজে ঘেরা প্রকৃতির নির্মল বাতাসে নিশ্বাস। ক্ষুরধার প্রযুক্তির বহু প্রতিক্ষীত ফল। যাদুকরী এই প্রযুক্তি সবকিছুর পরিবর্তন করতে যাচ্ছে।

ফায়ারফক্স ওএস

ফায়ারফক্স ওএস কী?

যারা একটু অবাক হচ্ছেন এই ভেবে, আসলে আমি কি বলতে চাইছি, তাদের জন্য সহজ কথায় জলদি করে বলতে গেলে

ফায়ারফক্স ওএস হচ্ছে নতুন একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা ডেভেলপ করেছে, মোজিলার Boot to Gecko (B2G) প্রকল্প। এটি লিনাক্স কার্নেল ব্যবহার করে থাকে এবং গেকো ভিত্তিক রানটাইম ইঞ্জিনে বুট হয়, যা ব্যবহারকারীকে পুরোপুরি HTML, JavaScript, এবং অন্যান্য মুক্ত ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন এপিআই দ্বারা ডেভেলপকৃত অ্যাপ্লিকেশন চালাতে সহায়তা করে।মোজিলা ডেভলপার নেটওয়ার্ক।

অল্প কথায়, ফায়ারফক্স ওএস ওয়েবের অভ্যন্তরীন প্রযুক্তি, যেমন জাভা স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে;একটি সম্পূর্ণ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করেছে। জটিল চিন্তা বাদ দিয়ে, শুধু এক মুহুর্তের জন্য ভাবুন – এটি একটি মোবাইল ওএস পাওয়ার্ড বাই জাভাস্ক্রিপ্ট!

এই কাজটি করার জন্য, গেকোর (ফায়ারফক্সের অভ্যন্তরীন ইঞ্জিন) কিছুটাপরিবর্তিত সংস্করণ তৈরী করা হয়েছে, আনা হয়েছে প্রয়োজনীয় নতুন জাভাস্ক্রিপ্ট API, যা মোবাইল ফোনের মত অনুভূতি দিতে প্রয়োজন ছিলো। যাতে অন্তর্ভুক্ত আছে, ফোন করার জন্য ওয়েবটেলিফোনি, ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর জন্য রয়েছে ওয়েবএসএমএস আর ব্যবহারকারীর শরীরে ঝাঁকুনি দিতে রয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় ভাইব্রেশন API

তবে, ফায়ারফক্স ওএস – সাম্প্রতিক ওয়েব প্রযুক্তির ইচ্ছেমতো ব্যবহারের চেয়েও বেশী কিছু।চমৎকার উপায়ে মোজিলার অন্যান্য আরও অনেক প্রকল্পের সমাহার করা হয়েছে, একটি একক অস্তিত্বে – ওয়েবকে একটি প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে। উল্লেখযোগ্য অন্তর্ভুক্তির মধ্যে রয়েছে, আমাদের ওপেন ওয়েব এপস্ উদ্যোগ এবং পারসোনা যাওয়েবে পরিচিতি ও লগইন এর এক অনন্য সমাধান (পূর্বে যা ব্রাউজার আইডিBrowserID নামে পরিচিত ছিল)। মোজিলার ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প একত্রিত করে একটি একক সুগঠিত প্লাটফর্ম তৈরী হতে দেখা, নিশ্চিতরূপেই চিত্তাকর্ষক।

আমি এখানেই এর বর্ণনা শেষ করছি, বিস্তারিত ভাবে এই প্রকল্পের বিবরণ দেয়া আমার উদ্দেশ্য নয়।মোজিলা ডেভেলপার নেটওয়ার্কে ফায়ারফক্স ওএস পাতায় খানে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে, আমি অবশ্যই আপনাকে তা পড়ে দেখতে অনুরোধ করব।

কেন ফায়ারফক্স ওএস

আপনি হয়ত ভাবছেন, “আচ্ছা বুঝলাম, কিন্তু একটি ফোন তৈরীতে কেন জাভা স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হল?আপনার ভাবনা হয়ত সঠিক, আসলেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। সুখবরটি হল যে, বেশ অনেকগুলো কারণ রয়েছে এই ধারণাটির পিছনে।

দুটি প্রধান কারণের একটি হল বর্তমান প্রোপাইটরি প্রযুক্তি আর অন্যটি হচ্ছে শৃঙ্খলিত মোবাইল প্রযুক্তি। এই দুইয়ে মিলে মোবাইল মার্কেটে তৈরী করেছে এক শূন্যতার, ফায়ারফক্স ওএস মার্কেটের ওই শূন্যস্থান পূরণ করবে।

মোবাইল বাজারে একটি শূন্যস্থানের সমাপ্তি

এটি কারো কাছে বিষ্ময়কর নয় যে স্মার্টফোন অনেক সময়ই অসম্ভব দামী হয়, এমনকি বিশ্বের যে সমস্ত এলাকায় উচ্চ স্তরের আয় আছে সেখানেও। কিন্তু আপনি যদি চিন্তা করেন যে, যেসকল দেশের সামর্থ্য আছে তাদের জন্য সেগুলো ব্যয়বহুল। তাহলে,একটি মুহূর্ত জন্য বিবেচনা করুন একটি ১৬ গিগা আইফোন ফোর এস, যা ৬১৫ পাউন্ডের সমান, ব্রাজিলের মত একটি উন্নয়নশীল বাজারে – যা যুক্তরাজ্য থেকে ১০০ পাউন্ড বেশী ব্যয়বহুল!

যদিও, ব্রাজিলের ঐ স্ফীত দাম ইম্পোর্ট ট্যাক্স উচ্চ হারের কারণে হয়ে থাকতে পারে। এই ঝক্কি এড়াতে, এ্যাপেল কাজ করে যাচ্ছে, তারা স্থানীয় উৎপাদনের বিষয়ে ভাবছে। যাই হোক, এতে একটি বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ব্যয়বহুল এবং হাই এন্ড ডিভাইস বিশ্বের সব অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য নয়। কোন কোন স্থানে আপনি নিশ্চয়ই ছোটখাট একটি গাড়ীর সমান দামের ব্রান্ড ফোন নিয়ে জনারণ্যে ঘুরতে চাইবেন না

সুতরাং আপনি কি করবেন, যদি আপনি অঢেল টাকা খরচ ব্যতিত, একটি স্মার্টফোনের স্বাদ নিতে চান? আপনি হয়ত একটি সস্তা এনড্রয়েড ডিভাইস নিতে চাইবেন, যা চলে কিন্তু খুবই দুর্বলভাবে চলে।

সৌভাগ্যবশত, এখানেই কবি সরব – এসে গেছে ফায়ারফক্স

ফায়ারফক্স ওএস এর লক্ষ্য উচ্চস্তরের ডিভাইসের সাথে প্রতিযোগিতা করা নয়। এটি, সাধারণ ফোনের মূল্যে, মধ্যস্তরের একটি স্মার্টফোন অফার করতে চাইছে।বনি চা

(translator note: উপরের অংশ প্রথম কিস্তি ছিলো)

ফায়ারফক্স ওএস বাজারের ঠিক এই ব্যবধানটিই হ্রাস করবে। একটি মধ্যম মানের হার্ডওয়্যারে অ্যানড্রয়েড ব্যবহারের যে অনুভুতি আপনি পান তা ফায়ারফক্স ওএস আপনাকে দিবে সস্তা ও লোএন্ড হার্ডওয়্যারে। এটি কোন কৌতুক নয়।

উদাহরণ হিসেবে, আমি একটি ৫০ পাউন্ডের ডিভাইসে (নিশ্চিতরূপেই, একটি কম দামী যন্ত্র) ফায়ারফক্স ওএস এর অধীনে, একটি জাভাস্ক্রিপ্ট গেম চালিয়ে পরীক্ষা করছি। আপনি হয়ত ভাববেন, এটি হয়ত খুবই খারাপ পারফরমেন্স ও ধীরে চলছে। মোটেও না, বরং ওই একই ডিভাইসে অ্যানড্রয়েডের অধীনে যেকোন ব্রাউজার (ফায়ারফক্স কিংবা ক্রোম) হতে অনেক বেশী দ্রুত চলছে। শুধু তাই নয় ৪ হতে ৫ গুন দামী এনড্রয়েড ডিভাইসের ব্রাউজারে একই গেম থেকে আমার কাম দামী ডিভাইসে ফায়ারফক্স ওএস এ বেশী দ্রুত চলছে।

কেন একই রকম ডিভাইসে, অ্যানড্রয়েড এর ব্রাউজার হতে এত বেশি দক্ষতা? কারণ, ফায়ারফক্স ওএস এ – Gecko এবং হার্ডওয়্যারের মধ্যে অনাকাঙ্খিত জিনিসের ঘাটতি, মানে জাভাস্ক্রিপ্টের মত জিনিসগুলো পরিপূর্ণভাবে চলতে পারে। ওই ঘাটতিতে থাকা জিনিসগুলো জাভাস্ক্রিপ্টকে অনেক ধীর করে দেয়।

সস্তা হার্ডওয়্যারে জাভাস্ক্রিপ্ট এর এই কর্মক্ষমতা হল অন্যতম বিষয়, যার কারণে আমি মেনে নিয়েছে যে ফায়ারফক্স ওএস বিশাল কিছু শুরু করেছে।

আমার বলে দেওয়া উচিৎ যে মোজিলা ৫০ পাউন্ডের একটি ডিভাইস দিয়ে ফায়ারফক্স ওএস লঞ্চ করতে যাচ্ছে না, এটি শুধুমাত্র একটি নমুনা যন্ত্র, যা আমরা বর্তমানে উন্নয়ন এবং পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করছি।

একটি বিকল্প, উন্মুক্ত প্লাটফর্ম

কেন ফায়ারফক্স ওএস? এর দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে, এটি যে শুধুই একটি বিকল্প মুক্ত মোবাইল প্লাটফর্ম হিসেব আসছে তা নয়। বরং বড় বড় প্রোপাইটরি মোবাইলের দিকপালদের, এই শিল্পে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে প্রভাবিত করতে সহায়ক হবে।

মোজিলার মিশন ১৯৯৮ সালে আরম্ভ হয়, একটি সফটওয়্যার প্রজেক্ট হিসেবে, পরবর্তীতে একটি ফাউন্ডেশন ও কোম্পানী হিসেবে এর রূপান্তর হয়েছিলো, যা প্রতাপশালী কর্পোরেট পণ্যের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে – উন্নয়ন করে যাচ্ছে উন্মুক্ত প্রযুক্তির। – স্টিভ লর

মজিলা চেষ্টা করছে, ফায়ারফক্স এর সাথে তার সফলতার অনুকরণ করতে। যা ব্রাউজারের দুনিয়ায় ঝড় তুলেছিল এবং ব্যবহারকারীদের দেখিয়েছিল যে নতুন একটি বিকল্প বলে কিছু রয়েছে, আর ওয়েব তারা কিভাবে ব্যবহার করবে সেই বিষয়টির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে দিয়েছিলো।

বর্তমানে, মোবাইল ওয়েব হুমকিতে রয়েছে, মাইক্রোসফটের দ্বারা নয়; নেতৃত্বস্থানীয় স্মার্টফোনগুলোর প্লাটফর্ম গুগল এবং অ্যাপল এর দ্বারা। তাদের ন্যাটিভ অ্যাপ্লিকেশন,লক করা প্ল্যাটফর্ম, প্রোপ্রাইটরি সফটওয়্যার স্টোর এবং ডেভলপারদের জন্য অবিন্যস্ত নিয়ম দ্বারা; গুগল আর অ্যাপল ওয়েব প্রযুক্তিকে অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলছে। থমাস ক্লেবার্ন

মোবাইলের প্রধান যে ক্ষেত্রের উন্নয়নের প্রয়োজন সেটা হচ্ছে অ্যাপ্লিকেশনের বহনযোগ্যতা বা portability…

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ঘিরে যত ধরনের উত্তেজনা বা হুজুগ আছে, তার মধ্যে একটি বিষয় ব্যবহারকারীদের পেছনে আটকে রেখেছে: তা হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট অপারেটিং সিস্টেম এবং একটি নির্দিষ্ট ডিভাইসে একটি অ্যাপ্লিকেশন চলবে। অপরদিকে ওয়েবটি এত বেশি বিবর্তিত হয়েছিল যে এর কনটেন্ট যেকোন হার্ডওয়্যারে একইভাবে পারফর্ম করছিল।

মোজিলা, ফায়ার ফক্স ওয়েব ব্রাউজারের নির্মাণকারী, এই একই বিষয়টি স্মার্ট ফোনের উপযোগী করার জন্য বদ্ধপরিকর। – ডন ক্লার্ক

ফায়ারফক্স ওএস এর লক্ষ্য হচ্ছে, ওয়েব এর এই ন্যাটিভ যেকোনস্থানযোগ্যতা ব্যবহার করে এমন একটি প্লাটফর্ম উপহার দেওয়া, যা অ্যাপলিকশনকে উপযোগী করবে যেনো তা উপভোগ করা যায় একটি মোবাইল ডিভাইসে, ডেস্কটপ কম্পিউটারে, ট্যাবলেট অথবা যে কোনো কিছুতে যার একটি ব্রাউজার রয়েছে। আপনি কি চান না আপনার ডেস্কটপে অ্যাংগ্রি বার্ড যেখানে শেষ করেছিলেন মোবাইলে সেখান থেকে আবার চালু করতে? আমি অবশ্যই তা চাই।

(translator note: উপরের অংশ দ্বিতীয় কিস্তি ছিলো)

ডেভেলপারদের জন্য – হ্যাকিং এর স্বপ্ন

ফায়ারফক্স ওএস কেন প্রয়োজন, তার আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে এই মূহুর্তে আমাদের হ্যাকিং করার মত কোন মোবাইল প্লাটফর্ম নেই (আপনি চাইলে অ্যান্ড্রয়েডে কিছুটা কাস্টমাইজেশন চেষ্টা করতে পারেন কিন্তু এটি সহজ নয়)

যেহেতু ফায়ারফক্স ওএস তৈরী হয়েছে এইচটিএমএল, জাভাস্ক্রিপ্ট এবং সিএসএস এর সমন্বয়ে তাই আপনার শুধুমাত্র ওয়েব ডেভলপমেন্টের মৌলিক জ্ঞান থাকলেই এই ডিভাইসের অভ্যন্তরীন চেহারা বদলে দিতে সক্ষম হবেন। আপনি আক্ষরিক ভাবেই সিএসএস এর এক লাইনের একটি কোড পরিবর্তন করে হোমস্ক্রিন এ প্রদর্শিত আইকন পরিবর্তন করতে পারবেন অথবা জাভাস্ক্রিপ্টে কোন কোড সংযোজন করতে পারবেন যা ফোনকল নিয়ন্ত্রণ করে।

এটি সত্যিই ডেভেলপারদের জন্য নিবেদিত একটি প্লাটফর্ম এবং আমি খুবই উৎসাহী এটা দেখার জন্য যে তারা এটাকে মোজিলার কল্পনা থেকে কত দূরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

সঠিক সময়

আমি মোজিলাতে গত দেড় বছরে এটা অনুধাবন করেছি যে, ফায়ারফক্স ওএস প্রকল্পের শুরু থেকে থাকতে পেরে আমি কতটা ভাগ্যবান। যদি আমি ভুল না করে থাকি, আমার চাকুরীর প্রথম দু সপ্তাহের মধ্যেই অভ্যন্তরীন ভাবে এই প্রকল্পের (Boot to Gecko হিসেবে) ঘোষনা দেয়া হয়েছিল।

তখন থেকেই জিনিসগুলো খুব আকর্ষণীয় ছিল বটে কিন্তু ধীরে ধীরে এটা আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠে। ফায়ারফক্স ওএস সত্যিকার অর্থেই একটি প্রথম সারির বিষয় যা নিয়ে আমি এই মূহুর্তে কাজ করছি এবং আমি নিঃসঙ্কোচে বলতে চাই আমি এটিকে ভালবাসি, আসলে এই কাজের অংশীদার হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।

মোজিলাতে কাজ করার সময় আমি অসংখ্যবার বিস্মিত হয়েছি যখন ফায়ারফক্স ওএস প্রাথমিকভাবে লঞ্চ করা হয়। আমি অনুভব করেছি উত্তেজনা, আবেগ, স্নায়ুর চাপ এবং ব্যাখ্যা করতে না পারার যাতনা – “যে এটা কতটা চমৎকার এবং কেন সকলের অনুধাবন করা উচিৎ”।

সত্যি কথা বলতে, আমি মনে করি না যে সকলেই বুঝতে সক্ষম হবে ফায়ারফক্স ওএস এ আসলে ঘটছে, যতদিন পর্যন্ত না এটি সম্পূর্ণভাবে লঞ্চ করা হয়। আমার মতে, অনেকটা ফায়ারফক্সের মত।

আপাতত, মোজিলার ইতিহাসের একটি চমকপ্রদ সময়ে থাকতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

প্রস্ফুটিত মন

এখন যারা এটি পাচ্ছে তারা হচ্ছেন কিছু ডেভলপার, যাদের কে মোজিলিয়ানদের বিভিন্ন ইভেন্টে এটার ডেমো ডিভাইস ব্যবহার করতে দেয়া হয়ে থাকে। আমি তাদের অনুভূতি এবং অভিব্যক্তি দেখে খুব মজা পাই, যখন তারা ওই ডিভাইস নিয়ে খেলা করেযেমন:

  • এটা শুরু হয়েছিল একটা হালকা গোলমাল থেকে —- অনেকটা এরকম “কেন তুমি আমাকে একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস দিলে?”
  • তারপরের অংশটি ছিল হঠাৎ বুঝতে পারা যে এটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস নয়, এটি জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
  • তার কিছু সময় পর উত্তেজনা শুরু হল অনেকটা এভাবেই “Holy shit!” এটা ছিল চমকপ্রদ মুহুর্ত
  • বেশ খানিকটা সময় পর দেখা গেল তারা গভীর মনোযোগের সাথে ডিভাইসের প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ পর্যবেক্ষণ করছে এবং অসংখ্য প্রশ্ন করছে
  • শেষ সময়টিতে দেখা গেল যখন আমি ডিভাইস ফেরৎ চাইলাম, তারা বলছে “আমি যা ভেবেছিলাম এটা তার অর্ধেক পরিমানও খারাপ নয়, আমি সত্যিই বিমোহিত!” এবং অনেকটা অনীহা নিয়ে তারা ডিভাইসটি ফেরৎ দিচ্ছে।

আপনি ভাবতে পারেন আমি বানিয়ে বলছি যাতে সবকিছু খুবই চমকপ্রদ মনে হয়, কিন্তু আমি সত্যিই এরকম হুবুহু প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলাম যাদেরকে আমি ডিভাইসটি দেখিয়েছিলাম। এটা আসলে খুব মজার ব্যপার ছিল।

আমি এতদিনে অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছি যে, আমি ফায়ারফক্স ওএস ডিভাইস যত বেশী মানুষকে ব্যবহার করতে দে‌খব তত আশ্বস্ত হব যে এটি সত্যিকার অর্থেই একটি গেইমচেঞ্জার। এভাবে এটি আশেপাশের সকলের মন কাঁড়তে সক্ষম হবে, আমার কোন ব্যাখ্যা প্রদান করা ছাড়াই।

অসংখ্য চ্যালেঞ্জ

আমি যা নিয়ে কাজ করছি তার বাঁধা বিপত্তির সমাধান না করে ফায়ারফক্স ওএস এর মহিমা নিয়ে কথা বলাটা ঠিক হবে না।

একপাশে রয়েছে সাধারণ বিষয়, যেমন কিভাবে অ্যাপস ইকোসিস্টেম মেইনটেইন করতে হবে যা একাধারে মুক্ত ও সীমাবদ্ধ নয়, অথবা সম্ভাব্য ডিভাইসের ফ্র্যাগমেনটেশন যেমন অ্যান্ড্রয়েডের সাথে। এই বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমার কাছে এগুলো নীরস।

যাহোক, আমি আগ্রহী মোবাইল ডিভাইসে HTML5 গেইম চালনার চ্যালেঞ্জ নিয়ে গেইমকে হৃদয়ঙ্গম করা এবং পারফরমেন্স ইস্যু দুটো বিষয় যা নিয়ে ডেভলপাররা প্রায়ই অভিযোগ করে থাকেন। এটা ফায়ারফক্স ওএসের জন্য কোন সমস্যাই নয় (অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এর যেটা বড় সমস্যা) কিন্তু বর্তমানে আমি আমার পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছি কীভাবে এটিকে আরও উন্নত করা সম্ভব তার উপর।

এখন যা অবস্থা, মোবাইলের জন্য পূর্বে বিদ্যমান HTML5 গেইম হয় খুব খারাপ ভাবে চলে (২০ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড), অথবা কিছুটা ভালভাবে চলে (২০৩০ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড)। বেশীরভাগ সময়ই এই গেইমগুলো স্ট্যাবল ফ্রেম রেটে চলে না, যা গেইমের অনুভূতিকে খুব একটা আকর্ষণীয় করে না।

মজার বিষয় হল বেশীরভাগ সমস্যাই, এই ডিভাইস অথবা জাভাস্ক্রিপ্ট সম্পর্কিত নয়। কিছু ভারী গেইম রয়েছে, যেমন Biolab Disaster, যা ৫০ পাউন্ডের লোএন্ড ডিভাইসে খুব ভালভাবে চলে যা আমি পরীক্ষা করছি আমি ৪০ থেকে ৬০ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ডের কথা বলছি।

এটা আমার কাছে পরিষ্কার যে, যদিও ডিভাইস এবং প্লাটফর্মকে মাঝে মধ্যে দোষারোপ করা হয় (সবসময় নয়), লোএন্ড ডিভাইসে ভালোমত পারফর্ম করে এমন গেইম থেকেও আমাদের অনেক কিছু শিখার রয়েছে কি ধরণের কৌশল তারা অবলম্বন করছে এবং কীভাবে ডেভেলপারদের উত্তম পন্থায় তা শেখান সম্ভব যারা মোবাইল ডিভাইসে HTML5 কে লক্ষ করে কাজ করছে।

আমি সত্যিই বিশ্বাস করি অনেক ভারী HTML5 গেইম মোবাইল ডিভাইসে ভালোভাবে চালানো সম্ভব, এমনকি লোএন্ড গুলোতেও। আমি কেন এ বিষয়ে এতটা আত্মবিশ্বাসী? কারন মানুষজন ইতোমধ্যে এ ধরণের গেইম তৈরি করা শুরু করেছে। আমি আমার জীবনে দুটো জিনিসকে সবচেয়ে বেশী বিশ্বাস করিআমার চোখ।

আমরা লক্ষে পৌঁছাব।

(translator note: উপরের অংশ তৃতীয় কিস্তি ছিলো)

আমার সন্তান, আজ হতে পরাধীন।

ঝড়ের দিনে আম কুড়াতে সুখ  পাইনি কিংবা পরবি তো পর মালির ঘাড়ে পরার ভয় পাইনি। ধানসিঁড়ি কিংবা কপোতাক্ষ নদের ছবি কল্পনায় আনতে, কত যে কষ্ট হয়েছে সে আমিই জানি। যারা পুরাতন ঢাকার স্থায়ী অধিবাসী নন, যাদের গ্রামের বাড়ি আছে, তারা হয়তো আমার কথায় তাচ্ছিল্য করবেন।

পুরাতন ঢাকার যে এলাকায় থাকি, সেখানে শিশুদের খেলার স্থান প্রায় নেই বললেই চলে। সবেধন নীলমনি ছিলো একটি অতিক্ষুদ্র একটি পার্ক, যা আজকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গত ৪ঠা অক্টোবর ২০১১, কালের কণ্ঠে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার শিরোনাম ছিলো পুরান ঢাকার কষ্টগাথা শিশুপার্ক হয়ে গেল মার্কেট। গতকাল ১৩ই অক্টোবর ২০১১ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু মার্কেট এর সামান্য অংশ ভাঙ্গার পর, সেই ক্ষুদ্র পার্কটি সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। আমি জানিনা কেন কি কারণে শিশু পার্কটি ভেঙ্গে ফেলা হলো। শুধু জানি, আজকের পর আমার ছেলেটি গাজা উপত্যাকার কোন শিশুর মতো পরাধীন হয়ে গেলো। আমার সন্তান হবার পর এতটুকু বুঝতে পেরেছি যে, শিশুরা খেলাধুলা করতে পারলেই কেবল স্বাধীন।

নিচের ভিডিও ক্লিপটি দেখলে, বোঝা যাবে পার্কটি কত ছোট ছিলো।

 

Fedora 14 talk and media Distribution

It’s been almost a year, since I’ve attended my last Fedora event on 25th February, 2010. it was Asian University (Dhaka) Fedora 12 Release party. Couldn’t manage to put together my efforts and stream of thoughts to arrange one – and I was unhappy. But, the “Fedora 14 talk and Media Distribution” event overwhelmed me with joy. I did literally jump and screamed after the event. I never thought there will be a Fedora event this big in a short notice in my neighborhood. Well the scale of being big might differ in EMEA or NA; but for me in Bangladesh it’s huge.


It’s only a part of the crowd. The university authority did not let enter more 1000 students for safety restriction of the hall. If I knew that the crowd shall turn out this big, I would have asked them to arrange open air in their football field.

I was able to produce 1000 Fedora 14 DVD (thanks FAmSCo) and distributed 800 of them in this event. Also give away T-shirts – only 300 of them. I didn’t distribute them in the event. Volunteer took some and rest was handed over to the faculty members for later distribution only to avoid seeing unhappy faces of those who might not get one. They are going to have a pop quiz next week to select and distribute T-shirts. Pop quiz will be based on my talk :). Wow – I never even imagined.

The Vice Chancellor of the university was present and inspired the crowd to use Free and Open source software and praised a lot for their initiative to use Fedora. He announced they might start migrating to Fedora, once they are sure with the support is available.

After my talk I started the distribution, by giving a DVD to the Vice Chancellor; student-volunteer form the university distributed within the hall and to the students where were waiting outside of the hall for two hours.

I tried to give away few T-shirts within the QA session, to those who asked questions. The student volunteer helped me a lot. Without them it wouldn’t have been possible to organize a successful event. Also, my fellow ambassador Rejaul Islam was there from morning till dawn with me. I had to drop the idea to treat the crowd with snacks and drinks; instead few of the volunteers were treated.

phew…. I did ti. I shall do it again.

More photos: bit.ly/fIv7h8

দুই টাকায় দুই ঘন্টা।

দুই টাকা দাম, অফিস যাবার পথে – বাস এ, দুই ঘন্টার সম্পর্ক প্রতিদিন, (ভিন্ন কারণে) ভাল লাগা একটি দৈনিক পত্রিকা “বাংলাদেশ প্রতিদিন”।

গতকাল (৩রা নভেম্বর) দুই টাকায় প্রতিদিনের চেয়ে অনেক বেশি কিছু পেলামঃ

  • প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিচারণমূলক লেখা – ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কিছু সময়।  তার বর্ণিত প্রতিটি স্থান আমি স্বচক্ষে দেখেছি, ২০০০ সালে (মহিলা ওয়ার্ড বাদে)। আমিও স্মৃতি রোমন্থন করলাম।
  • সোহেল তাজের লেখা – তাঁর পিতা ও তাঁকে শ্রদ্ধা করি। প্রার্থনা করি তিনি যেন, আজীবন আনটাচেবল থাকতে পারেন।
  • ১৬৯৯ টাকায় প্রয়োজনীয় সুবিধা সহ ফোনসেটের খবর। বউয়ের মোবাইল ঘর হতে অলমোস্ট ডাকাতি হয়েছিলো মাস কয়েক পূর্বে। তাকে আরেকটি কিনে দিতে হতো। এটি কিনে দেয়া যাবে। এক পাতা জুড়ে ফোনটির ছবি। বউকে’ রঙিন বিজ্ঞাপন টি দেখিয়ে রাজি করিয়ে ফেললাম। সামনে ঈদুল আজহার বোনাস পেয়েই কিনে ফেলবো।
  • সবচে’ বেশী ভাল লাগলো, যখন খেয়াল করলাম – আমার তোলা একটি ছবি ছেপেছে। তাদের রকমারি পাতায়, “বাহাদুর শাহ পার্কের অজানা কাহিনী” লেখায় যে ছবিটি ব্যবহার করেছে, সেটি আমি ২০০৭ সালের ২৮শে জানুয়ারী তুলেছিলাম। সৃজনী সাধারণ (CC) লাইসেন্সের যে সংস্করণের আওতায়, আমি ছবিটি উইকিমিডিয়া কমন্সে ছবিটি আপলোড করেছিলাম, তাতে বাংলদেশ প্রতিদিন কে আমার নাম উল্লেখ করতে হতো। বাংলাদেশে প্রায়শই এমনটি ঘটে। পূর্বেও আমার ছবি বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, এরকম কায়দায়। রাগ করেছি। কিন্তু আজকে করলাম না, তিন (!) লক্ষাধিক সার্কুলেশনে পত্রিকাটি, আমার ছবি ছেপেছে। আমার পুরানো ঢাকার একটি ঐতিহাসিক স্থানের ছবি অনেকে দেখতে পেলো, আর কি প্রয়োজন।এসএসসি তে আমার ছবি পত্রিকায় আসেনি – আব্বার মনে বড়ই আকাঙ্খা ছিলো। তাঁকে বলে দেখবো, আমার তোলা ছবি ছাপা হয়েছে – ঘোলের স্বাদ দেওয়ার চেষ্টা করবো।