আসুস এসপায়ার ফোরসেভেন ফোরজিরো ল্যাপটপ
আসুস ট্রান্সফরমার TF101 ট্যাবলেট
এনড্রয়েড টিভি স্টিক।
দুইটি রাস্পবেরী পাই
পাঁচটি ডেস্কটপ পিসি
সোনি এক্সপেরিয়া এস মোবাইল ফোন
বউয়ের নোকিয়া ফোন
স্যামসাং গ্যালাক্সী ওয়াই মোবাইল ফোন
নিজের জন্যে রেফারেন্স পোস্ট।
একটি অনুবাদ প্রকল্পের জন্যে, আমাদের XML Copy Editor ব্যবহার করতে হবে। উবুনটু তে সাইন্যাপটিক কিংবা apt-get দিয়ে ইনস্টল হচ্ছে ঠিকই কিন্তু বার চারের বত্রিশে, রান করছে না। সবচে’ সহজ ওয়ার্ক এরাউন্ড হবে – সোর্স থেকে কম্পাইল করে, ডট ডেব প্যাকেজ বানিয়ে ইনস্টল করা। এই প্রকল্পে বেশ কয়েকজন কাজ করবে, তারা যেনো এই পোস্ট হতে দেখে দেখে নিজ নিজ ভার্চুয়াল মেশিনের, উবুনটুতে ইনস্টল করে নেয়।
প্রথমে ডাইরেক্টরী তৈরী করে সেটিতে একই সাথে চলে যাওয়ার কমান্ড
mkdir ~/compilexmlcopyeditor && cd ~/compilexmlcopyeditor
পূর্বে সাইন্যাপ্টিক কিংবা apt-get দিয়ে ইনস্টল করা XML Copy Editor অপসারন করা
sudo apt-get purge xmlcopyeditor
এগুলান বুঝার দরকার নাই, কমান্ড চালিয়ে নিন
sudo apt-get build-dep xmlcopyeditor
সোর্স কোড নিয়ে আসা (২০ মেগাবাইট নামবে)
sudo apt-get source xmlcopyeditor
ডিরেক্টরি পরিবর্তন
cd xmlcopyeditor-1.2.0.6
ডট ডেব প্যাকেজ বানান্তিস
sudo dpkg-buildpackage -rfakeroot -us -b
ডিরেক্টরি পরিবর্তন করে এক ধাপ পেছনের PWD তে যাওয়া,
cd ..
আমরা মাত্রই যে প্যাকেজ বানালাম, সেটা ইনস্টল করা।
sudo dpkg -i *.deb
সূত্র: ThomasG’s post: https://bugs.launchpad.net/ubuntu/+source/xmlcopyeditor/+bug/967087
জিপিএল লাইসেন্স ভিত্তিক, ফ্রি সফটওয়্যার XML Copy editor সম্পর্কে আরও জানতে হলে এখানে দেখুন: http://sourceforge.net/projects/xml-copy-editor/
কিছু উল্ল্যেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:
রাজার আদেশ-
প্রাণভরে ১০০ শতাংশ গ্রহন করিবে শ্বাস,
ধরে রেখে তার ৭৫ – ত্যাগ করিও বাকি নিশ্বাস।
প্রজার আকুতি-
বিজ্ঞ আপনি জানি। সদা আপনাকেই প্রভু মানি।।
এসেছিলো জোয়ার, শুরু করেছিলেন উন্নয়ন
টাকশাল হতে বিয়োগান্তক ধারায় আছে ধন।
সকলেই আপনার শূন্য একের ভক্তো
২৫ শতাংশ ছাড়লে, আমরা বাঁচবো তো?
রাজা বলেন-
খামোশ, চুপ রহো বেত্তমিজ মূর্খ
তোর কপালে আছে অতীব দুঃখ।
ছিলি ভুখা নাঙ্গা, থাল তাও ভাঙ্গা
দিয়েছি রুটি, মাকান, কাপর মেহেঙ্গা।
কৃপা করে দিয়েছে শূন্য একের প্রযুক্তি
অতিক্ষুদ্র খুঁত খুঁজে করছিস কটূক্তি;
কমিয়ে দিয়েছি শূন্য-একের করের বোঝা
সেইজন্য দাঁড়াতে পারছিস খাড়া সোজা।
প্রজা বলে –
মহামান্য! কমিয়েছেন একটু একটু করে,
পাশের রাজ্যেই কমে আছে ঊনসত্তর মাস ধরে।
রাজা বলেন –
তোরা হলি ছোটলোক অকৃতজ্ঞের জাত
বসতে দিলে শুয়ে গড়াগড়ি যেতে চাস্ ?
শ্বাস-প্রশ্বাস সমানে ছাড়তে দিলি,
করবি শূন্য-এক দিয়ে কথা বলাবলি।
প্রজা বলে-
পিতা-পুত্র-স্বামি সাত সমুদ্দুর ওপারে
দুঃখ সয়ে, সুখ তারা পাঠায় মোদের ঘরে।
আধপেটা খাটছে, ঘামছে তারা খর্জূর বাগানে,
কষ্ট ভুলতে, প্রিয়জনকে চোখে দেখে, কথা শুনে কানে।
রাজা বলে –
আহা! সেতো জানি, পাঠায় ডলার-রিয়াল-মানি;
মন্দা কাটিয়ে, টাকশাল ফুলেছে, দেশ হচ্ছে ধনী
কে, না করেছে? বলনা কথা, দেখনা ছবি
যখন মন চায় যতটা চায়, খুশি হবি।
শুধু বসবি না কখনো আপন যন্ত্রে
বলবি না কথা, দেখবি না ছবি নিজ নিজ মন্ত্রে।
সভ্য হ, সুন্দর হ। শিখে নে নাগরিক আচার
অবৈধ শূণ্য-একের ব্যবহার, অনাচার অনাচার।
বাণিজ্যের রয়েছে, ছত্রিশ কোটাল পুত্রের অনুমতি
ব্যবহার করবে তাদের যন্তরমন্তর, তোদের কন্যা-জায়া-জননী।
প্রজা বলে-
মূল্যহীন মহাবিটের করলেন মূল্যহ্রাস,
ভেবেছিলাম পয়সা বাঁচিয়ে সামনে শীতে খাব হাঁস।
কোটাল পুত্রও একই মূল্যে মহাবিট করছে কাঁড়াকাঁড়ি
কিনছে হিরে-জহরত; প্রাসাদ আর মোটর গাড়ি।
রাজা বলেন-
মূর্খ, ভুখা, নাঙ্গা! কি করে আসে সাহস তোদের বক্ষে
কে আছিস, ঢোকা শালাকে মস্তিস্ক প্রক্ষালন কক্ষে।
করিমন ও ক্যাথরিন একই গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরি করে, একই ফ্লোরে, একই কাজ করে। করিমনের বেতন ৬৫ ডলার, ক্যাথরিনের বেতন ৬৫০০ ডলার। করিমনের এ নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। একজন ফিরিঙ্গি এর উসিলায় তার ও অন্য সব কর্মীর আগুনে পুরে যাওয়া, পদদলিত হওয়া, কারখানা ভবন ধ্বসে আটকে পরা বা অন্য কোনরকম অনিয়মের ভয় নেই।
বাংলাদেশের প্রতিটি গার্মেন্টসে একজন করে ক্যাথরিন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এই দুমাস ব্যাপী সময়কালটা আমাদের দেশে গ্রীষ্মকাল। একদিকে উত্তপ্ত রোদ, পানিশূন্য চৌচির মাঠ, লোডশেডিং, পানির আকাল, গরমে ও মশার জ্বালায় নির্ঘুম রাত। আরও রয়েছে হঠাৎ ধেয়ে আসা কালবৈশাখী ও এর সাথে ছুটছাট বৃষ্টি। অন্যদিকে মৌসুমের ফল আম-জাম-লিচু আর আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল। মোটামুটি এই আমাদের গ্রীষ্মকাল।
বাংলাদেশের প্রায় প্রতিপাদ্য স্থানে অবস্থিত আরও পশ্চিমে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় গ্রীষ্মকালের চেহারাটা ভিন্ন বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে। গ্রীষ্মের গরমে তারা মোটামুটি একটা লম্বা সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ছুটি পেয়ে থাকে।
ছোটবেলায় আমি স্কুলের পাঠ্যবইয়ের একটি গল্পে পড়েছিলাম। লেখক তার গল্পে, কোন এক গ্রীষ্মে তার ইউরোপ ভ্রমণের বর্ণনা দিয়েছিলেন। তিনি যেই হোটেলটিতে থাকতেন সেখানে একটি ছেলে ফুটফরমাশ খাটত। ঘটনাক্রমে তিনি ছেলেটির বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পরেছিলেন। গরীব মনে করে একটি রুটি কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ছেলেটি মোটেও গরীব ছিলনা, তাদের আলিশান বাড়ি ও তার বাবা-মায়ের বেশভূষা দেখে তিনি চমকে গিয়েছিলেন। ছেলেটির বাবা জানিয়েছিল, “এই গ্রীষ্মে তার ছেলে কাজ করে টাকা জমাবে”। আগামী গ্রীষ্মে তিনি আরও টাকা দিয়ে ছেলেকে ইউরোপ ভ্রমনে পাঠাবেন। আমি এই গল্পে কয়েকটি morale পেয়েছিলাম:
যাহোক, পশ্চিমা বিশ্বে গ্রীষ্ম বা সামার তাদের জন্যে শুধুই ছুটি নয়, এটি একটি উৎসব, একটি পার্বন, নতুন কিছু করার সুযোগ। একঘেঁয়েমি কাটিয়ে, তাদের সামার হয়ে উঠে আনন্দের। সামার তাদের জন্যে শুধুই একটি ঋতুর নাম নয়, এটি একটি ক্রিয়াবাচক নাম বা verbal noun। সময় বদলেছে, সভ্যতা আধুনিক থেকে আধুনিকতম হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির রেঁনেসা ঘটেছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে গ্রীষ্মের দাবদাহ আরও বেড়েছে। তবে ছুটি বদলায়নি, স্কুল-কলেজ ঠিক বন্ধ হয়ে যায়, ছয় হতে আট সপ্তাহের জন্যে।
২০০৫ এর গ্রীষ্মে গুগল একটি প্রোগ্রাম আরম্ভ করে, ছাত্রছাত্রীদের ওপেন সোর্স সফট্ওয়্যার ডেভলপমেন্ট এ অবদান রাখতে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে। আয়োজন করা হয় গ্রীষ্মের আট সপ্তাহের এক উৎসব, কোডিং এর উৎসব বা কোডিং এর সামার – ইংরেজীতে লিখলে Summer of Code > SoC.
এই আয়োজনে গুগলের লক্ষ্য হচ্ছে:
পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের ছাত্রছাত্রীরাই সামারের এই আয়োজনে অংশ গ্রহন করে থাকে। আমাদের বাংলাদেশ থেকেও বিগত বছরগুলোতে কয়েকজন অংশগ্রহন করেছিলেন। তবে, এবছর পর্যন্ত তা সাকুল্যে ২০ এর অধিক হবে না। অথচ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, নাহ ওরা তো অনেক বড় দেশ আর আইসিটি তে অনেক এগিয়ে ওদের কথা বাদ। শ্রীলংকা হতে গতবছর আবেদন কত হয়েছিলো জানিনা, তবে গৃহীত হয়েছিলো ৪২ টি আবেদন। বাংলাদেশ থেকে ৩ জনের আবেদন গৃহীত হয়।
বছরওয়ারী গৃহিত আবেদনের সংখ্যা।
গুগল কিন্তু নিজের জন্যে কোন কোডিং করায় না। অন্যের কাজ করিয়ে থাকে। বিভিন্ন মুক্ত সোর্স প্রকল্পের জন্যে কাজটি করা হয়। সামার চলে আসার বেশ কিছুদিন পূর্বেই, গুগল বিভিন্ন অর্গানাইজেশনকে তাদের নামের লিস্টি জমা দিতে বলে, প্রজেক্ট আইডিয়া সহকারে। আইডিয়া গুলো হতে পারে ওপেন সোর্স এপলিকেশন বা ওপেন সোর্স প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের – পূর্বের কোন বাগ ফিক্স করা, নতুন কোন বৈশিষ্ট্য যোগ করা, ডকুমেন্টেশন করা ইত্যাদি। গুগল সেগুলো হতে বেছে একটি তালিকা প্রকাশ করে। এর পর গুগল আহবান করে অভিজ্ঞ কোডারদের, গুরু বা মেনটর হিসেবে নিজের নাম লেখাতে। যারা সামারে ছাত্রছাত্রীদের কোডিং এ গাইড করবেন। তারপর আসে ছাত্রছাত্রীদের পালা। তারা নির্বাচিত প্রকল্প তালিকা হতে, নিজ দক্ষতার সাথে মিল রেখে এক বা একাধিক আবেদন করেন। যাচাই-বাছাই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, প্রয়োজনে সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রকাশ করা হয়, গৃহীত আবেদনের তালিকা। আর ততদিনে ঘোষণা হয়ে যায় গ্রীষ্মের ছুটি। ছাত্রছাত্রীরা নেমে পরে কোডিং করতে ৮ সপ্তাহের জন্যে। এই ৮ সপ্তাহে কোথাও আটকে গেলে সাহায্য করেন গুরুজনেরা বা মেনটর গণ। গ্রীষ্মের শেষে কোড জমা করা হয় গুগলের নিকট। গুগল খুশি হয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রণোদনা দিয়ে থাকে।
প্রণোদনার অংকটি ছাত্রছাত্রী প্রতি ৫,৫০০ মার্কিন ডলার। ৫০০ ডলার পান মেনটর। আর ৫০০০ ডলার তিন কিস্তিতে ছাত্র বা ছাত্রীকে দেয়া হয়। এই টাকা একটি প্রিপেইড আন্তর্জাতিক ভিসা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া হয়। যা গুগল রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠিয়ে থাকে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও গুগল আয়োজন করেছে GSoC 2013। এবছর ৪১৭ টি প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে হতে ৪০টি নতুন সহ মোট ১৭৭ টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান সমূহের তালিকা।
যারা অংশগ্রহন করতে আগ্রহী তাদের ২২শে এপ্রিল হতে ৩রা মে ২০১৩ এর মধ্যে আবেদন করতে হবে। একজন সর্বাধিক পাঁচটি প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে, তবে গৃহিত হবে একটি। আবেদন করতে হবে জিসক প্রকল্পের হোমপেজ গুগল হাইফেন মিলেঙ্গে ডট কমে।
জিসক ২০১৩ এর গুরুত্বপূর্ণ তারিখ সমূহ –
কিছু প্রয়োজনীয় লিংক –
লেখাটি শুধুমাত্র তাদের জন্যে, যারা নিজেদের সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারী মনে করেন।
রাস্পবেরী পাই (Raspberry Pi) জিনিসটি কি?
যদিও বাংলাদেশে আমরা কম্পিউটার বলতে সিস্টেম ইউনিট, মনিটর, মাউস ও কিবোর্ড সমেত একটি প্যাকেজ কে বুঝিয়ে থাকি। আদতে একটি কম্পিউটারের অবিচ্ছেদ্য মৌলিক অংশ হচ্ছে, প্রসেসর এবং র্যাম। প্রসেসর কে আমি তুলনা করি বাবুর্চী এর সাথে, আর র্যাম কে মনে করি পাতিল। ব্যস, এই দুইয়ে মিলে ডাটা রান্না করে, উপাত্ত পরিবেশন করাই হল কম্পিউটিং। এখন বাবুর্চী ও র্যাম যে স্থানে (রান্নাঘর) থাকেন, সেটি একটি সার্কিটবোর্ড (মাদারবোর্ড)। রান্নার পর পরিবেশন এর জন্যে প্রয়োজন হয় থালা (মনিটর), বাটি (প্রিন্টার), পেয়ালা (স্পিকার)। তো বিলেতের একদল লোক সেই বাবুর্চি, পাতিল ও রান্নাঘরকে ছোট করে একটি বোর্ড বানিয়েছেন। সেটিই হল রাস্পবেরী পাই। এটির আকার বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র হতে সামান্য বড়। মূল্য মাত্র ৩৫ মার্কিন ডলার।
আমাদের দেশে রাস্পবেরী পাই এর কোন পরিবেশক নেই। কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রাপ্ত মাত্র দুটি ভিনদেশী প্রতিষ্ঠান এটি উৎপাদন ও বিপনন করে থাকে। তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা কার্ড ব্যবহার করে এটি ক্রয় করা যায়। পৃথিবীর যেকোন স্থানে শিপিং ফি প্রদান সাপেক্ষে ডেলিভারি পাওয়া যাবে। যাদের সেই উপায় নেই, তারা বিদেশে অবস্থানরত আত্মীয় ও বন্ধুদের অনুরোধ করতে পারেন। তবে বাংলাদেশের ডাকে কিংবা বেসরকারী কুরিয়ারে এসব আনতে গিয়ে অনেকেই বিড়ম্বনার স্বীকার হয়েছেন। তাই প্রবাসে ক্রয় করে, নিজে বা অন্য কারো সহায়তায় সাথে করে নিয়ে আসা সবচে’ সুবিধাজনক।
আরেকবার বলি – এটি সাধারণ মানের এক-সার্কিট বোর্ড বিশিষ্ট একটি কম্পিউটার। অনেক পরিবেশক এর সাথে কিবোর্ড, মাউস, HDMI কেবল, পাওয়ার এডাপ্টার, কেসিং ইত্যাদি বিক্রয় করে থাকেন। তবে বেশীরভাগ সময় নিচের মত শুধু বোর্ড ক্রয়-বিক্রয় করা হয়ে থাকে। আপনিও হয়ত সেরকমই শুধু বোর্ড পেয়েছেন।
অর্থাৎ, আপনাকে আরও বেশকিছু যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে হবে।
ছবি – মাইক্রো ইউএসবি কানেক্টর।
ছবি – ইথারনেট কেবল এর প্রান্তে RJ45 কানেক্টর।
ছবি – 3.5 mm স্টেরিও কানেকশন জ্যাক।
সবগুলো জিনিস একসাথে সংযোগ করা খুব কঠিন কিছু নয়। কারণ, সবগুলো সংযোগ ভিন্ন আকার, আকৃতি ও বর্ণের। চাইলেও ভুল হবার সম্ভাবনা নেই। পাওয়ার উৎস অবশ্যই ৫ ভোল্টের বেশী হওয়া চলবে না।
ব্যস, সবকিছু লাগিয়ে পাওয়ার দিলেই, আপনার টিভি (বা মনিটরে) কিছু সময়ের মধ্যেই চলে আসবে ৩৫ ডলার মূল্যের Raspberry Pi পিসির, রাস্পবিয়ান ওএস ডেস্কটপ। আরও জানতে পড়ুন – Raspberry Pi Quick Start Guide: http://www.raspberrypi.org/quick-start-guide
[সবগুলো ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স হতে প্রাপ্ত। শেষের ছবিটি রাস্পবেরী পাই এর কুইক স্টার্ট গাইড হতে নেওয়া।]
বেশ কিছুদিন হলো Rasberry Pi হাতে পেয়েছি। বেশ অনেকগুলো বোর্ড আনানো হয়েছে। আগ্রহীদের বিতরণ চলছে। বোর্ড হাতে নিয়ে কয়েকজন প্রথমেই বলছেন, “HDMI টিভি-মনিটর নাই, কেবল নাই। ভিসিডি চালানোর অডিও-ভিডিও কেবলের হলুদ জ্যাক টা দিয়ে টিভিতে চালানো যাবে কিনা।” HDMI কেবল কিংব টিভি না থাকলে তো আর কিছুই করার নাই। আর হলুদ জ্যাক দিয়ে টিভিতে আমি চালিয়ে দেখেছি, কমান্ড লাইনের লেখা গুলো স্পষ্ট না। হয়তো আমার চোখে ভাল লাগছিল না। আমি যা করেছি তা বলার জন্যেই ব্লগ লিখছি।
প্রথমেই, Raspberry Pi তে, আমার Samsung Galaxy Y এর চার্জার দিয়ে পাওয়ার দিয়েছি, আর আমার ওয়াইফাই রাউটার এর সাথে ল্যান কানেক্ট করেছি।
তারপর, রাউটার এর এডমিনিসট্রেশন পেজ এ গিয়ে, DHCP Client list দেখে, Raspberry Pi এর আইপি এড্রেসটা জেনে নিলাম।
apt-get install tightvncserver
vncserver। এটি পাসওয়ার্ড চাইবে, যা আমি raspberry ই রাখলাম।
vncserver :1
। ডবল ডটের পরে 1 লিখলাম, কারণ আমি একটি ডিসপ্লে হতে দেখবো। ভিনসি সার্ভার একাধিক ভার্চুয়াল ডিসপ্লে সমর্থন করে। প্রয়োজন অনুযায়ী সংখ্যা বদল করে নিতে হবে।মজার খবর পেলাম, এক মেইলিং লিস্টে। তারপর গুগল করে নিশ্চিত হলাম। ভয় কাটলো, আনন্দিত হলাম। কিছুদিন যাবৎ দোটানায় ছিলাম, বাংলাদেশে Raspberry pi বোর্ড আনার বিষয়ে। একদিকে দেশীয় ছাত্রদের এই বিষয়টির সাথে পরিচয় ঘটানো এবং তাদের RnD তে উৎসাহিত করা। অন্যদিকে Raspberry Pi এর ARM প্রসেসর, যা লিনাক্সের কাস্টম কার্নেল দিয়ে চলে। অঙ্কুর শুধু ডেবিয়ান চালিয়ে পরীক্ষা করতে পেরেছ এ পর্যন্ত। যদিও নেটে জানা গেছে অনেকেই বিভিন্ন ডিস্ট্রো চালিয়েছেন। কিন্তু আমরা যেহেতু বোর্ডটি সংগ্রহ করে এনে টাকার বিনিময়ে দেবো, তাই একটু দায়িত্ব নিতে হচ্ছিল। অন্যন্য বোর্ড সদস্যরা এই প্রকল্প বাদ দিতে বলছিলেন আমাকে। অনেক আলোচনার পর, অঙ্কুর সপ্তাহখানেক আগে সিদ্ধান্ত নেয়, Raspberry Pi বোর্ড আনানোর এবং ঘোষণাও দেয়া হয়ে যায়। কিন্তু ARM এর নিরস্ত্র হওয়ার ভয় থেকেই যায়। কারণ, লিনুস এর একটি বক্তব্যে, অনেকের মতো আমিও নিরাশাবাদি হয়ে পড়েছিলাম। সে বলেছিলো, Gaah. Guys, this whole ARM thing is a f*cking pain in the ass.
কিন্তু আজকে ZDnet এর নিবন্ধে জানতে পারলাম, যে লিনুস খুব সহসাই কার্নেল এর তিন দশমিক সাত ছাড়বেন ARM সংশ্লিষ্ট হাজার লক্ষ লাইন কোড সহ। তাই শিরোনামা বলছিলাম, ARM প্রসেসর Linux দ্বারা এবার সত্যিই ARMed (আর্মড) হবে। শুধু রাস্পবেরী পাই একাই নয়, ARM নির্ভর সকল মোবাইল ফোনও এতে উপকৃত হবে। আর আমি একজন উন্নয়ন কর্মী হিসেবে অনেক আনন্দিত। কারণ, আমাদের বেশ কিছু ICT 4 Developement আইডিয়া আটকে ছিলো, low cost ডিভাইসে লিনাক্স ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা কারণে।
nixers গ্রুপে, তপন কুমার দাস এর একটি স্টাটাসে প্রভাবিত হয়ে এই আধখেঁচড়া ব্লগটি লিখছি। কারো কারো কাজে লাগতে পারে। আবার অনেকের কাজে নাও লাগতে পারে। এক ঘন্টায় এটি লিখলাম। কাল ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাব সকাল নটায়, এখন রাত আড়াইটা। পরে, প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করবো।
শিরোনামটি তার স্টাটাস হতে নেওয়া। এটি ছিলো তার জিজ্ঞাসা। আমি শুধু কার্নেল নয়, যেকোন ওপেন সোর্স প্রকল্পে কি উপায়ে কন্ট্রিবিউট করা যায়, সেটি জেনেরিক উপায়ে লিখার চেষ্টা করেছি।
– এক বা একাধিক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ইনস্টল করুন। *nix এর মজাই এখানে, আপনার পছন্দের অপশন অনেক, অগুনিত। (অফটপিক: একাধিক ডিস্ট্রো থাকাটাকে আমরা ভালভাবে না নিয়ে, একে অপরের সাথে ডিস্ট্রো ফাইট করি।)
– পড়তে হবে, বই পড়তে হবে। বিকল্প নাই। একটি জেনেরিক বই আছে, এটি কোন ডিস্ট্রো ভিত্তি করে লেখা হয় নাই। আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ বই এটি, আমার কোন ব্যক্তি গুরু নাই, এটিই আমার গুরু। যেমন শিখদের গুরু গ্রন্থ সাহিব। বইটির নাম – Running Linux. লিখেছেন : Terry Dawson, Matthias Dalheimer, Matt Welsh। প্রকাশ করেছে O’Reilly। লিনাক্স বুঝতে প্রায় সকল উপকরণ রয়েছে এই বইতে। লেখকবৃন্দ, লিনাক্স ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ সকল সমস্যা এই বইতে আলোচনা করেছেন। তারা পরীক্ষিত ও নির্বাচিত সমস্যাসমূহের সমাধান এই বইতে সন্নিবেশ করেছেন।
– Replicate করুন। যদি আপনি replicate করতে না পারেন, তাহলে this is not science। আপনার পছন্দের ডিস্ট্রো replicate করুন। কিভাবে করবেন?
– আপনার লিনাক্স ডিস্ট্রোর সোর্স হতে বাইনারি বিল্ড করুন। আপনি একবার বাইনারি বিল্ড করতে পারলে, জেনে যাবেন সকল প্রকার প্রাক-প্রস্তুতি। আর বিল্ড করার সময় যত বেশি সমস্য হবে, ততই আপনি উপকৃত হবেন। প্রতিটি সমস্যার বিপরীতে শত সমাধান পাবেন, গুগল করে। গুগল সার্চ রেজাল্টে প্রাপ্ত মেইলিং লিস্টের আর্কাইভ সমূহ, বিভিন্ন ফোরাম পোস্ট, ব্লগ নিবন্ধ – পড়ুন! মনোযোগ দিয়ে পড়ুন! ধীরে অতি ধীরে হৃদয়ঙ্গম করে পড়ুন!
– সোর্স checkout করুন। সোর্স থেকে বাইনারি বিল্ড করুন, এতে আপনি নিজেই অনুধাবন করতে পারবে, আপনার কি কি কনফিগারেশন অপশন প্রয়োজন। (আপনি যদি একবার নিজে নিজে বাইনারি বিল্ড করতে পারেন, আপনি প্রস্তুত)।
– ওপেন সোর্স একটি সামাজিক মিথস্ক্রিয়া। ওয়ান ম্যান আর্মি দিয়ে ওপেন সোর্স এর কাজ হয় না। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের হ্যাকার, কন্ট্রিবিউটরদের সাথে যোগাযোগ উন্নয়ন করুন। তাদের জিজ্ঞেস করুন। মিশতে শিখুন। show off করবেন না। wanna be দের তারা WTF দিয়ে উড়িয়ে দিবে। আমাদের দেশে আবার wanne be – আমেরিকানো মাস্তানো বেশী।
– মাথায় কোন প্রশ্ন আসার সাথে সাথে হুট করে জিজ্ঞেস করবেন না। প্রথমে নিজে চেষ্টা করুন, গুগল করুন। নিজে একটু চেষ্টা করুন, নিজের হোমওয়ার্ক করে নিন। তারপর জিজ্ঞেস করুন, ভয় পাবেন না। তবে, কিছুটা সচেতনতা প্রদর্শন করুন। যেনো সকলে বুঝতে পারে, আপনি জানেন আপনি কি জিজ্ঞেস করছেন, আপনি নিজে খেটে এসে তারপর জিজ্ঞেস করছেন। শেখার চেষ্টা করুন, কমিউনিটিতে কি উপায়ে কথোপকথন হয়, কি উপায়ে আলোচনা হয় তা জানুন ও শিখুন। মেইলিং লিস্টের আর্কাইভ গুলো চষে বেড়ান।
– মেইলিং লিস্ট, আইআরসি – হচ্ছে ফ্রী ও ওপেন সোর্স কমিউনিটির যোগাযোগের চ্যানেল। হ্যাঁ যদিও এগুলো প্রাগৈতিহাসিক মনে হতে পারে। এগুলো আমার-আপনার জন্মের পূর্বে এসেছে, মেনে নিন। Deal with it। কোন মেইলিং লিস্টে বা আইআরসি চ্যানেলে আপনার প্রথম প্রশ্নটি যেনো – সেই প্রকল্পের সমালোচনা না হয়। প্রতিটি ওপেন সোর্স প্রকল্প অনেক কষ্টের ফসল। কেউ চাইবে না একজন নতুন লোক এসে – ঠা ঠা ঠা গোলাগুলি আরম্ভ করে দিক। এটি বাংলাদেশি স্টাইল, দৃষ্টি আকর্ষনের সহজ উপায় গালি দেওয়া। এটি করবেন না। পছন্দ না হলে, সেই প্রকল্পে যোগদানের প্রয়োজন নেই। নয়তো – আপনাকে এক কাপ গরম গরম shut the fuck up ধরিয়ে দেওয়া হবে।
– Crash! হ্যাকার জন্ম নেবার মুহূর্ত! যখনই কিছু ক্র্যাশ করবে, আপনাকে আনন্দিত হতে হবে। আপনার কাজ হবে ক্রাশ এর stack trace নেওয়া। স্ট্যাক ট্রেস হলো, একটি প্রোগ্রাম চলাকালীন কোন এক মূহুর্তের, সক্রিয় স্ট্যাক ফ্রেম সমূহের রিপোর্ট। ইংরেজীতে বলি, Stack Trace is a report of the active stack frames at a certain point in time during the execution of a program। এই স্ট্যাক ট্রেস দিয়ে বাগ সাবমিট করুন নির্দিস্ট প্রকল্পের বাগ ট্র্যাকার এ। বিভিন্ন প্রকল্পের বাগ ট্র্যাকার:
https://bugzilla.redhat.com, https://bugzilla.mozilla.org, http://bugzilla.gnome.org, https://bugs.launchpad.net
– আপনি যা রিপোর্ট করবেন, তার পূর্বে অবশ্যই খুঁজে নিবেন একই সমস্যা অন্য কেউ রিপোর্ট করেছে কিনা। যদি করে থাকে তাহলে, সেটি সমাধান করা হয়েছে কিনা। তবে সমাধান করা হয়ে থাকলে, আপনার crash করার কতা না, কারণ সেটি তো অলরেডি ফিক্স হয়েই গেছে। আর যদি সমাধান না হয়ে থাকে, তাহলে মজা। সবাই মিলে সেটি ফিক্স করেছে, আপনিও তাদের সাথে ভিড়ে যান। আর যদি বাগটি রিপোর্ট করা না হয়ে থাকে, তাহলে বাগ সাবমিট করুন। যেকোন ওপেন সোর্স প্রকল্পে একটি বাগ সাবমিট, আপনার যোগ্যতার প্রমাণ। (আমি বিভিন্ন সময়ে ডেভেলপারদের ইন্টারভিউ নিয়ে থাকি। প্রার্থীর CV হাতে পেলে, তার নাম সার্চ দিয়ে দেখি, যদি ওনার নামে বিভিন্ন ওপেন সোর্স প্রকল্পে চার/পাঁচটি বাগ সাবমিট করা পাই। তাহলে তাকে ইন্টারভিউতে এক্সট্রা পয়েন্ট দেই।)
– হতে পারে, আপনার বাগ প্রকল্প বা কম্যুনিটি ফিক্স করবে না। বলে দিবে wontfix। মনে কষ্ট পাবেন না। যারা প্রকল্প পরিচালনা করছে, তারা তো আর আমাদের চাকুরি করে না।
– কি করবেন তাহলে! নিজেই ফিক্স করুন মানে হ্যাক করুন। সমাধান করতে পারলে, একটি patch ফাইল তৈরী করে প্রকল্পের আপস্ট্রিম সাবমিট করে দিন। কিন্তু না! এবারও হলোনা? প্রকল্প patch টি গ্রহন করলো না। কষ্ট নিয়েন না। কারণ, লোকজন নিজেদের কোডকে অনেক ভালবাসে, তারা হুট করে একজন নতুন লোকের প্যাচ নিয়ে নেয় না। তাদের কৈফিয়ত শুনুন, তাদের উপদেশ মেনে আবার কাজ করুন। লোকালি বিল্ড করুন, রান করুন, স্ক্রিনশট নিয়ে ব্লগ করুন, সোসাল ব্রডকাস্ট করুন। ব্যবহারকারীরা patch আপনার সাইট হতে নামিয়ে যখন দেখবে, এটি চলছে তারা ফিডব্যাক দিবে। বাতাস আপনার কল নাড়াবে। আর অবশেষে একদিন মুল প্রকল্পে আপনার কোডও কমিট করা হবে। আমি Worst Case Scenario বললাম। বেশিরভাগ সময় আপনার প্রথম patch টিই গ্রহন করা হবে। ঘাবড়ানোর কিছুই নেই। ;)
– ভাল কথা, আপনি যে আপনি। তার প্রমাণ কি? GPG key ব্যবহার আরম্ব করে দিন এখনই। অনেক স্থানে GPG সাইনিং ছাড়া patch গ্রহন করা হয় না।
Tor একটি ফ্রি সফটওয়্যার, যা আপনার পরিচয় গোপন রেখে আপনাকে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেয়। এর পিছনের প্রক্রিয়াটি হচ্ছে – আপনার আইপি, অবস্থান গোপন রাখা এবং আপনি কোন কোন ওয়েবসাইট এ যাচ্ছেন তা নেটওয়ার্ক সার্ভিলেন্স আওতা হতে লুকিয়ে রাখা। আপনার স্থানীয় আইএসপি কোন ওয়েবসাইট ব্লক করে রাখলে, সেটিও এই ব্যবস্থায় ভ্রমণ করা যায়।
উবুন্টু রিপোজিটরিতে Tor রয়েছে। তবুও অফিসিয়াল PPA ব্যবহার করলে, সবশেষ আপডেটেড সংস্করণ পাওয়া যাবে। নিচের কমান্ড ব্যবহার করে Tor ইনস্টল করা যাবে, টার্মিনাল থেকে:
sudo apt-add-repository ppa:ubun-tor/ppa
sudo apt-get update
sudo apt-get install tor privoxy
এখন নিচের কমান্ড লিখে সার্ভিস আরম্ভ করুন:
tor &
এতে সার্ভার চালু হবে, এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে নিরবিচ্ছিন্ন চলবে, টার্মিনাল বন্ধ করলেও। সাধারণতঃ টর নিম্নলিখিত কনফিগারেশন ব্যবহার করে থাকে:
প্রোটোকল: socks5
পোর্ট: 9050
এখন ফায়ারফক্স কনফিগার করে নিলেই, আমরা অ্যানোনিমাস বা গোপনে ব্রাউজিং করতে পারবো।
ফায়ারফক্সের preference হতে নেটওয়ার্ক সেটিংস পরিবর্তন করে নিন। SOCKS প্রটোকলে localhost কিংবা 127.0.0.1 আইপি হিসেবে লিখুন আর পোর্টে লিখুন 9050.
কনফিগারেশন করার পর, https://check.torproject.org/ ঠিকানা ব্রাউজ করুন। সবকিছু ঠিক থাকলে, নিম্নরূপ সফল বার্তা পাবেন।
জিমেইল কিংবা ফেসবুক মোবাইল ডিভাইস অথেনটিকেশন পদ্ধতি সচল করা থাকলে, এগুলো পুনরায় নিরাপত্তা কোড চাইতে পারে।