ইতিহাস, হঠাৎ হয়না; তবে হয়েই যায়। ইতিহাস অনুমান করা যায়না, তবে আঁচ করা যায়। আমার মত যারা মজিলা মিশনে বিশ্বাস করেন; তারা অবশ্যই আশা করি যে, “ফায়ারফক্স ওএস একদিন অনেকটা বাজার দখল করবে।” আর বাজার দখলের শতাংশে ভবিষ্যতে, আমার আলোচ্য বিষয়টি অনেক বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ বলেই বিবেচিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি এক্সাইটেড না, আমি বুঝে শুনেই বলছি, বর্তমানে বাংলাদেশ হতে যতজন মজিলিয়ান, মজিলা মিশনে অবদান রাখছেন, তন্মধ্যে অন্যতম, অনিরুদ্ধ অধিকারী। তিনি আমাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি আমাদের প্রাণের ভাষাকে ফায়ারফক্স ওএস এ স্থায়ী করতে প্রথম উদ্যোগ নেন এবং এ পর্যন্ত সবচে বেশী কর্ম ঘন্টা ব্যয় করে আরও অনেক গুলো ভাষা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে চলেছেন।
ফায়ারফক্স ওএস, মজিলা ফাউন্ডেশন কর্তৃক ডেভেলপড করা একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। বিস্তারিত পড়ুন আমার আরেকটি অনুবাদ-ব্লগে। মজিলার বেতনভুক্ত ডেভলপাররা রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছেন, একটি মানসম্পন্ন মোবাইল ওসএ উন্নয়ন করতে। বেশকিছু ভাষা তার স্থাপন করেছেন ওএস টিতে, আরও ভাষা অন্তর্ভুক্ত করবেন নিকট ভবিষ্যতে। কিন্তু আমাদের অনিরুদ্ধ অপেক্ষা করেননি, ২০১৩ এর একুশে ফেব্রুয়ারীর দিন সাবমিট করে দিয়েছিলেন একটি বাগ(bug), অনেকটা বিদ্রোহীর মত। অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর, অনেকদিন পর মজিলা বাগটি আমলে নিয়ে, অনিরুদ্ধ এর কথা মত ফায়ারফক্স ওএসের কোডে, বাংলা ভাষাকে স্থান করে দেয়।
for techie – অনিরুদ্ধ ২১ শে ফেব্রুয়ারী, B2Gতে বাংলা ফন্ট রেন্ডার না হওয়ার সমস্যা জানিয়ে bugzilla তে, বাগ সাবমিট করেন সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে। সেটির সমাধানকল্পে, ৭টা ৪৫মিনিটে বাংলা ফন্টের জন্যে পুল রিকোয়েস্ট করেন। পরের দিন, patch তৈরী করে সংযুক্ত করে দেন বাগে। ১৫ই অক্টোবর পুল রিকোয়েস্ট মার্জ করে মজিলা আর বাগটি resolve করে fix করে দেয়।
আর আমরা পাই, ফায়ারফক্স ওএস এ বাংলা দেখার সৌভাগ্য।
মজার বিষয় হল, অনি বাংলা হরফ ব্যবহার করে, এমন সকল ভাষারই উপকার করেছে।
(লেখাটি আংশিক, এ সপ্তাহে হরতালে আরও কিছু লিখবো এটিতে। শেষ করে অনিকে উৎসর্গ করবো। Tribute এর মত।)